মুক্তচিন্তা ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৫ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৭৭ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, দেশে ৮৪৮টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ২২১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৯ হাজার ২৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ ৮৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচানয় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। দেশে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৭ হাজার ৯১৬ জন এবং নারী ১০ হাজার ৮৯ জন।
তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
মারা যাওয়া ৪ জন ঢাকা বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছে। মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপতালে ১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন মারা গেছেন।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৬ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীতেই রয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন। সরকারি হিসাবে, ডিসেম্বরের ৬ দিনে ৪৩৮ জন, নভেম্বরে ৩ হাজার ৫৬৭ জন, দেশে অক্টোবরে ৫ হাজার ৪৫৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৮৪১ জন, আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন এবং জুন মাসে ২৭২ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জন। এর মধ্যে নভেম্বরে ৭ জন, অক্টোবরে মারা গেছেন ২২ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন, আগস্টে ৩৪ জন এবং জুলাইতে ১২ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৬৮ জন। ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগী আছেন ১৯২ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৭৬ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৬০ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৭ হাজার ২৯৪ জন।