মুক্তচিন্তা রিপোর্ট : নিউইয়র্কের একজন সম্পাদকের পরকীয়ার কারনে তার দীর্ঘদিনের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ওই সম্পাদকের একাধিক ছেলে, মেয়ে রয়েছে। তার শিক্ষিত স্ত্রী, কমিউনিটির অতি পরিচিতমুখ অনেক চেষ্টা করেও পরকীয়া থেকে স্বামীকে ফেরাতে পারেননি। এই চেষ্টা তিনি গত কয়েক বছর ধরেই করে আসছিলেন। শত অনুনয়, অনুরোধে কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রী আলাদা হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই সম্পাদকের সাথে ‘এস’ অধ্যাক্ষরের এক সুন্দরী তরুণীর ঘনিষ্ট চলাফেরা ও মেলামেশা কমিউনিটির অনেকের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। ওই তরুণী ঢাকায় একাধিক টেলিভিশনে উপস্থাপনা এবং মডেলিং করতেন বলে জানা যায়। দু’বছর আগে তিনি একাই নিউইয়র্কে এসেছিলেন। জ্যামাইকায় তার আত্মীয়ের বাসায় থাকেন।
জানা গেছে ওই তরুণী নিউইয়র্কে আসার পরে কাজের সূত্রে ওই সম্পাদকের সাথে প্রথমে পরিচয় এবং পরে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পাদকের সাথে দিনদিন তার ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই থাকে। যে কোনো অনুষ্ঠানেই ওই সম্পাদকের সাথে তাকে দেখা যায়। এই বিষয়টিও তার স্ত্রীর দৃষ্টি ফাঁকি দিতে পারেনি। ফলে এ নিয়ে স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর প্রচন্ড সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও সুন্দরী তরুণীকে দূরে ঠেলে দেবার বা সম্পর্ক শেষ করে দেবার তার কোনো ইচ্ছা নাই বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন সম্পাদক। বিয়ে করে ওই তরুণীকে কাগজ পাবার ব্যবস্থা করে দেয়ারও প্রতিশ্রতি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। অনেকদিনের বিয়ের সংসারে এই টানাপোড়েন অনেকের চোখে পড়লেও এটা নিয়ে কেউ তেমন কিছু উচ্চবাচ্য করেননি লোকলজ্জার ভয়ে। তবে সম্পাদকের স্ত্রীর ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখন একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় হয়েছে । তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ডিভোর্সের কথা না বললেও সেটা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। সর্বশেষ তারা কি অবস্থায় আছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
এদিকে সাপ্তাহিক মুক্তচিন্তা’র ২০ ডিসেম্বরের সংখ্যার কাভার স্টোরি ‘ পরকীয়ায় তছনছ বহু প্রবাসীর সংসার’ প্রকাশ হবার পরে এ বিষয়ে বহু নতুন নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাসকারী ৫ টি বাংলাদেশী পরিবার পরকীয়ার জেরে আলাদা হয়ে গেছে গত এক সপ্তাহেই। সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হবার ভয়ে তারা বিষয়গুলো সামনে আনতে না চাইলেও তা প্রকাশ হয়ে পড়ছে। এই পাঁচটি পরিবারের মধ্যে একটি ব্যতিত বাকী চারটি সংসারেই একাধিক সন্তান রয়েছে।