বাংলা খবর ডেস্ক:
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বি.১.১.৫২৯ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) তরফে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। একইসঙ্গে এটিকে উদ্বেগের কারণ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই নতুন ধরনের স্পাইক প্রোটিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হওয়ায়, এটি অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে সংক্রমণও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
ডব্লিউএইও জানায়, কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। এর সংক্রমণের ক্ষমতা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি-না তা এই সময়ের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি করোনার প্রচলিত চিকিৎসা ও টিকার ওপর কোনো প্রভাব আসবে কি-না সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে, ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নতুন করে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকারগুলো। ইতোমধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর ফ্লাইট চলাচলে জরুরিভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলো। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা।
চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বি.১.১৫২৯ বা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। এরপরে তা হংকং, ইজরায়েল ও বেলজিয়ামেও করোনা আক্রান্তদের শরীরে পাওয়া যায়। নতুন ভ্যারিয়েন্টটির স্পাইক প্রোটিনে এতবার অভিযোজন হওয়ায়, তা বাকি ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় আরও সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছেন গবেষকরা।