নিউইয়র্কের একটি দেওয়ানি ব্যবসায়িক জালিয়াতির মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কয়েক ঘন্টা সাক্ষ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে গত সপ্তাহে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে দায়ের তরা একটি পৃথক মামলায় ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন প্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়িক জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্প ছাড়াও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
৭৬ বছর বয়সি এই রিপাবলিকান নেতা রাষ্ট্রীয় তদন্তের বেশ কয়েকটি মুখোমুখি হচ্ছেন, যা আগামী বছরের হোয়াইট হাউস নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার প্রার্থীতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমসের আনা মামলায় দ্বিতীয়বারের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি দীর্ঘ জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ট্রাম্প লোয়ার ম্যানহাটনে জেমসের অফিসে পৌঁছান এবং সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরেই ফিফথ অ্যাভিনিউতে ট্রাম্প টাওয়ারে ফিরে আসেন।
সাক্ষ্য দেওয়ার আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘এই দেওয়ানী মামলাটি হাস্যকর। আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে আমার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলা আনা হচ্ছে।’
জেমস গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প, ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, এরিক ট্রাম্প এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক জালিয়াতির ওই মামলাটি করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা ট্রাম্প সংস্থায় ‘অবিশ্বাস্য’ জালিয়াতি করেছেন।
জেমস ওই মামলার এজাহারে দাবী করেন যে, ট্রাম্প, ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, এরিক ট্রাম্প এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্প বছরের পর বছর ট্যাক্স সংগ্রহকারী, ঋণদাতা এবং বীমাকারীদের কাছে সংস্থার সম্পত্তির মিথ্যে মূল্য প্রচার করেছিল।
জেমস বলেছেন, তারা ঋণ পেতে ও বীমা সুবিধা পেতে কম কর প্রদানের জন্য ট্রাম্পের মোট মূল্য এবং মিথ্যা সম্পদ মূল্যায়নের জালিয়াতিপূর্ণ বিবৃতি প্রদান করেছিলেন।’
এই মামলাটি প্রায় সর্বসম্মতভাবে রিপাবলিকান কর্মকর্তাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।