মুক্তচিন্তা রিপোর্ট : সকল ভেদাভেদ আর মনোমালিন্য ভুলে কমিউনিটির সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আবেদন জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট ২৪ নির্বাচনী এলাকায় এ্যাসেম্বলিম্যান প্রার্থী মিজান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সবাই মতবিরোধ ভুলে একতাবদ্ধ থাকতে পারলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আগামী ২৮ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের আগ্রহও ততই বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশী আমেরিকান প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের আগ্রহ বেশি। ভোটারদের এই আগ্রহর কথা চিন্তা করে প্রার্থীরাও ছুটছেন তাদের দ্বারে দ্বারে। পুরোদমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। এবার এই নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও এ্যাস্মেলিম্যান প্রার্থী মিজান চৌধুরী তার বিজয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। তবে সে জন্য কমিউনিটির সবাইকে একতাবদ্ধ থেকে অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
মিজান চৌধুরী জানান, তার প্রার্থীতা ঘোষণার পরপরই তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষঢ়যন্ত্র শুরু করেছিলো। সেখানে বাংলাদেশী কমিউনিটির দু’একজনকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা পরে ভুল বুঝতে পেরে আমাকে সমর্থন জানিয়েছে। তার মতে, মতের অমিল থাকতেই পারে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশী কমিউনিটির কেউ তার বিরোধীতা করেনি বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা সবাই সবার জন্য কাজ করলে আমাদের কমিউনিটির অনেক সমস্যা সমাধান হওয়া সহজ হবে। আমরা যারা বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রার্থী হয়েছি তারা সবাই যদি বিজয়ী হই এটা সবার জন্য ইতিবাচক হবে।
মিজান চৌধুরী বলেন, যারা যে পদেই প্রার্থী থাকুন না কেনো সবাই সবাইকে সহযোগিতা করা দরকার। তিনি বলেন, একটি তৃতীয় পক্ষ যারা বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে থাকেন কেবল ভোটের জন্য, তারাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো। দশদিন তার নাম আটকে রাখা হয়েছিলো। তারা অনেক চেষ্টা করেছিলো ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাতিল করে দেয়ার। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। একইসাথে তারা প্রচার চালাচ্ছিলো যে, বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে আছে। কিন্তু সেটা আসলে সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে কোনো বাংলাদেশী কখনোই ছিলো না। তবে দু’একজনকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। তারা পরে ভুল বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, এই প্রবাসে আমরা বাংলাদেশী আমেরিকান হলেও সবাই সবার ভাই অথবা বন্ধু। আমরা যদি নিজেরা নিজেদের সাথে না থাকি তাহলে এটা আমাদের জন্যই ক্ষতির কারণ। আমি সবার অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।
মিজান চৌধুরী সকল ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। ২৮ জুনের আগের দশদিন মেইলযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা জরুরী কাজে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না বা দেশে যাবেন তাদেরকে মেইলযোগে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিজান চৌধুরী বলেন, ৩০ জনের একটি গ্রæপ তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করে একটি জরিপ করেছে। সেই জরিপে তিনি অনেক এগিয়ে রয়েছেন। ওই জরিপে ভোটাররা তাকে বিজয়ী করার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
এদিকে, মিজান চৌধুরীর প্রার্থীতার খবরে বাংলাদেশী ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। এলাকার ভোটাররা চাচ্ছেন, এবার যেনো সবাই বিবাদ বিরোধ ভুলে একতাবদ্ধভাবে মিজান চৌধুরীকে বিজয়ী করতে কাজ করেন। এই প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্বাচনী এলাকা ডিস্ট্রিক্ট ২৪ এর ভোটাররা মনে করছেন আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য প্রাইমারী নির্বাচনে মিজান চৌধুরীকে এ্যাসেম্বলিম্যান পদে বিজয়ী করতে পারলে কমিউনিটির মর্যাদা আরও বাড়বে। অন্যদের পেছনে না ঘুরে বরং সবাই একতাবদ্ধ হয়ে নিজেদের একজনকে বিজয়ী করা উচিত বলে ভোটাররা মনে করছেন।
ডিস্ট্রিক্ট ২৪ নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে, জ্যামাইকা এস্টেট, হলিস, হলিসউড, ব্রায়ারউড, রিচমন্ডহিল, বেলরুজ, কুইন্স ভিলেজ ( একাংশ ) , গø্যানওকস, জ্যমাইকা হিলস। এই নির্বাচনী এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। এরমধ্যে বিশাল অংশ রয়েছেন বাংলাদেশী ভোটার।
বেলরুজ এলাকার ভোটার আহমেদ ইমরোজ মিজান চৌধুরীর প্রশংসা করে বলেন, সে একজন যোগ্যপ্রার্থী। সবাই মিলে চেষ্টা করলে তার বিজয়ী হবার সম্ভাবনা অনেক। তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে, বাংলাদেশী কমিউনিটির সামনে আসার। এখন আর কেবল ভোটার না, ভোটপ্রার্থী হবার সুসময়।
গø্যানওকসের সালাম খান মনে করেন, কমিউনিটি গড়ে তুলতে বা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যে সব যোগ্যতা থাকা দরকার তার সবই রয়েছে মিজান চৌধুরীর। সুতরাং তাকে জিয়ী করা, তার জন্য কাজ করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
এদিকে , ডেমোক্রেট দলীয় এই প্রাইমারী নির্বাচনে ডাইভারসিটি, ইউনিটি, রিপ্রেজেন্টেশন, ইনোভেশন এ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন এই শ্লোগান নিয়ে মিজান চৌধুরী’র এই ভোটযুদ্ধে তার সাথে রয়েছেন, ডিস্ট্রিক্ট ২৪ জুডিশিয়াল ডেলিগেট প্রার্থী দরুদ মিয়া, সাইফুর আর খান, আনজাম সিদ্দিকী, রাশেদুল আলম, মোহাম্মেদ আকতার, স্টিভ বেহার, ফাফার্ট মিশেল, অমরিত পাল সিং, হারমান প্রাীত সিং ও বেবি হোসাইন। এ ছাড়াও রয়েছেন, এমডি হাসানুজ্জামান ( নিউইয়র্ক স্টেট কমিটি, মেল ) , সামিয়া ভাট ( নিউইয়র্ক স্টেট কমিটি, ফিমেল ), সুখ জিন্দার সিং নিজ্জার ( নিউইয়র্ক এ্যাসেম্বলি ডিস্টিক্ট লিডার, পার্ট বি, মেল ) , রাবনীত কাউর ( এ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট লিডার পার্ট বি , ফিমেল ) ক্লেমেনসিয়া ফিগুয়েরাও ( এ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট লিডার পার্ট-এ, ফিমেল ) ।