মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধান শনিবার (২২ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি ছিল দেশের জান্তার সঙ্গে যুক্ত একজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তির সর্বশেষ হত্যাকাণ্ড।
দুই বছরেরও বেশি সময় আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ভিন্নমতের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের নেতৃত্ব দিয়ে দেশটি জুড়ে সামাজিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে।
স্বঘোষিত বেসামরিক ‘জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী’র যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব ইয়াঙ্গুনের থিঙ্গানগিউন শহরে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনের উপ-পরিচালক সাই কিয়াও থুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই হত্যার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্রবাহিনী দায়ী।
আগের নির্বাচনে ভোটারদের জালিয়াতির অপ্রমাণিত অভিযোগের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর নেতারা বেসামরিক নেতা অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
নির্বাচনী নিয়মের অধীনে পুনরায় নিবন্ধন না করায় দেশটির নির্বাচন কমিশন সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টিকে গত মাসে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
এদিকে গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের প্রধান সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইতিমধ্যেই নিবন্ধন করেছে।
দলটি ১৯৯০, ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে সু চির এনএলডির কাছে পরাজিত হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার অশান্তিতে রয়েছে।
সামরিক বাহিনীর ওই ক্ষমতা দখল জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নতুন করে লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরও ইয়াঙ্গুনে তার বাড়িতে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন।
সূত্র : এনডিটিভি