চলতি সপ্তাহে পিয়ংইয়ং তার প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর জাপান শনিবার (২২ এপ্রিল) তার সামরিক বাহিনীকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটটিকে কক্ষপথে স্থাপনের জন্য একটি দূরপাল্লার প্রজেক্টাইলের প্রয়োজন হবে।
কিন্তু এরকম দূরপাল্লার উৎক্ষেপণ নিষিদ্ধ বলে জানা গেছে।
কারণ জাতিসংঘ এই ধরনের মহড়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পরীক্ষা হিসেবেই দেখে।
শনিবার জাপানের মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বলেছেন, ’ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপের আদেশ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
হামাদা সেনাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পতনের পর ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রয়োগ করার’ নির্দেশও দিয়েছেন।
তিনি এসএম-থ্রি ক্ষেপণাস্ত্রের ইন্টারসেপ্টর দিয়ে সজ্জিত ডেস্ট্রয়ার মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতির নির্দেশও দেন।
সেই সঙ্গে ওকিনাওয়ার দক্ষিণ প্রিফেকচারে সামরিক ইউনিটগুলোকেও প্যাট্রিয়ট প্যাক-থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করার আদেশ দিয়েছেন তিনি।
২০১২ ও ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে- যেটিকে পিয়ংইয়ং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বলে।
ওই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ওকিনাওয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল।
জাপানের গণমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে একই প্রস্তুতির আদেশ জারি করেছিল।
এদিকে, পিয়ংইয়ং এখনও উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা করেনি। দেশটির নেতা কিম জং উন শুধু বলেছেন স্যাটেলাইটটি ‘পরিকল্পিত তারিখে’ পাঠানো হবে।
গত মঙ্গলবার জাপানে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে এই বছর আর কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার দাবি জানিয়েছে।
ধনী দেশগুলোর গ্রুপটি পিয়ংইয়ংকে প্রত্যাশিত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছে এবং বলেছে যে, এটি মেনে না নিলে একটি ’জোরালো’ প্রতিক্রিয়া হবে।
এক সপ্তাহ আগে পিয়ংইয়ং বলেছিল, তারা সফলভাবে একটি কঠিন জ্বালানিচালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে।
এটিকে দেশের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণ ক্ষমতার জন্য একটি অগ্রগতি বলে অভিহিত করেছে পিয়ংইয়ং।
সূত্র : এনডিটিভি