৭২
জাতিসংঘে কানাডা প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। দিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে বৈঠকে বসেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জয়শংকর। জল্পনা ছিল তাদের বৈঠকে উঠতে পারে কানাডা প্রসঙ্গ। কিন্তু সেই প্রসঙ্গে নাকি কোনও কথাই হয়নি! বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর সূত্রে খবর, তাদের আলোচনায় খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুন নিয়ে কোনও প্রসঙ্গও ওঠেনি। মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, ‘আমেরিকার সচিব ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে আসন্ন টু প্লাস টু সংলাপ, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয় অন্যতম।’ বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জয়শংকর বলেন, “এখানে এসে আমি অভিভূত। ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সামিটকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ।” একইসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ভারত ও আমেরিকার মন্ত্রীদের মধ্যে টু প্লাস টু সংলাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। জানা গিয়েছে, এই সাংবাদিক সম্মেলনে ব্লিঙ্কেনকে কানাডা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আমার বন্ধু জয়শংকর এখানে আসায় আমি খুব খুশি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” বলে রাখা ভালো, ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসতে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, নিশ্চিতভাবেই দুজনের কথায় উঠে আসবে কানাডা প্রসঙ্গ। জুন মাসে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যা নিয়ে অটোয়া ও নয়াদিল্লির মাঝে উষ্মা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, খলিস্তানি বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে মার্কিন প্রশাসন। দুদেশকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। বিশ্লেষকদের মতে, কানাডা ও ভারত কোনও দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না ওয়াশিংটন। কারণ দুদেশের সঙ্গেই আমেরিকার রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।