মুক্তচিন্তা রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদা নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান যিনি এই আসনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারীতে অ্যাসেম্বলীওম্যান পদে ইতিপূর্বে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ঐ নির্বাচনে বিজয়ী ক্যাথরিন নোলান বিগত ৩৭ বছর ধরে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ব্রীজ, লং আইল্যান্ড সিটি, সানি সাইড, উডসাইড, ম্যাসপাথ ও রিজউড নিয়ে অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ আসন। ২০১০ সালের আদমশুমারীর হিসেবে এই আসনে ১,২৯,১৮৭ মানুষের বসবাস।
জানা গেছে, বিগত ৩৭ বছর ধরে নিউইয়র্ক-এর অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন ক্যাথরিন নোলান। এমনকি গত এক দশকে কেউ প্রাইমারী নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জটুকুও জানায়নি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবায়দা প্রথমবারের মতো ক্যাথরিন নোলানকে প্রাইমারী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ করেন। বিজয়ী না হতে পারলেও নোলানের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে নিজেকে প্রমান করতেও সক্ষম হন মেরী জোবায়দা।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে পুনরায় মেরী জোবাইদার ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে প্রার্থীতার কথা ছিলো এবং অনেকেই তাকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি গত ২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে দশটায় নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। সেখানে তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘ যদি সত্যিই এটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, আমি আমার প্রচারণা শেষ করছি।’ এর পরেই তিনি বলেছেন একা একা আমি খুব কঠিন সময় পার করছি।’ তার পৃথিবী ক্রমাগত ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হলেও তিনি যে সামাল দেয়ার চেষ্টা করছিলেন সে কথাও বলেছেন। তিনি নির্বাচন করার জন্য দৃঢ প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং নির্বাচন করার শক্তিও তার ছিলো বলে জানিয়েছেন। তবে কেনো তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তার প্রকৃত কারণ পুরোপুরি জানা না গেলেও তিনি যে অনেক সমস্যার মুখোমুখি ছিলেন সেটা আঁচ করা গেছে তার স্ট্যাটাসে। একইসাথে মেরী জোবাইদার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, নির্বাচন ঘিরে নানা প্রতিবন্ধকতা বিশেষ করে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা ছাড়াও নির্বাচনী ফান্ড রেইজিং নিয়ে সমস্যাকেই তার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার অনেকগুলো ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও তার স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে জানার জন্য মেরী জোবাইদার সেল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। টেক্স্ট ম্যাসেজেরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।