আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খারতুমে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী (প্যারামিলিটারি) র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানীতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের ওপর হামলা চালিয়েছে আরএসএফ। তাদের মধ্যে মূলত ক্ষমতার দখল নিয়ে লড়াই হচ্ছে।
আধাসামরিক বাহিনীটি দাবি করেছে, তারা বিমানবন্দর ও প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নিয়েছে। তবে এ দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
সুদানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাবিল আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আরএসএফ তাদের কয়েকটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে সেগুলো দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সেনারা খারতুম ও সুদানের অন্যান্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষ চলছে এবং সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।’
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের মেরোই শহরেও সংঘর্ষ চলছে।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা গেছে।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন।
এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।
বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছ, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।