তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সর্বশেষ যুদ্ধের মহড়ার কয়েকদিন পরে গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে।
এই যাত্রাকে দেশটির নৌবাহিনী একটি ‘রুটিন মাফিক ট্রানজিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সপ্তম নৌবহর জানিয়েছে, ‘আর্লেই বার্ক-শ্রেণীর গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিয়াস গত রবিবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাত্রা করেছে।’
তারা ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে গভীর সাগরে চলাচল এবং ট্রানজিট স্বাধীনতার আওতায় যুদ্ধজাহাজটি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে।’
এদিকে, চীন সোমবার বলেছে, তারা তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করেছে।
চীনা সামরিক মুখপাত্র কর্নেল শি ই বলেছেন, ‘ওই এলাকার সেনারা সব সময় সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারা জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে।’
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চীন একদিন এই দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকার করেছে। এটি সমগ্র তাইওয়ান প্রণালীকে তার আঞ্চলিক জলসীমা হিসাবে দাবি করে।
এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গত সোমবার তাইওয়ানের আশেপাশে তার তিন দিনের যুদ্ধ অনুশীলন শেষ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য এই মহড়ার আয়োজন করে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চলাচল করে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিতভাবে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা করে।
গত সপ্তাহে, ইউএসএস মিলিয়াস দক্ষিণ চীন সাগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানবসৃষ্ট এবং চীনা নিয়ন্ত্রিত দ্বীপ মিসচিফ রিফের কাছে যাত্রা করেছিল।
যদিও বেইজিং একে বেআইনি বলে নিন্দা করেছিল।
মহড়া শেষ হওয়ার পরেও তাইওয়ানের আশেপাশে কম মাত্রায় সামরিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে চীন।
সোমবার সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, তারা ১৮টি চীনা সামরিক বিমান এবং চারটি নৌযানকে তাইওয়ানের আশেপাশে ২৪ ঘন্টা টহল দিতে দেখেছে।
সূত্র : আলজাজিরা