পূর্ব ইউক্রেনের বিধ্বস্ত শহর বাখমুতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ভারি কামান এবং বিমান হামলা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি।
মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে বাখমুত এবং এর আশপাশের এলাকা। খবর রয়টার্সের।
ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, বর্তমানে শত্রুরা ভারি কামান এবং বিমান হামলার সংখ্যা বাড়াচ্ছে, শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যে কোনো মূল্যে বাখমুত দখল করতে চাইলেও শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিতে রুশ সেনাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে ইউক্রেনীয় দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার বলছে, বাখমুতে রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের আগে বাখমুতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। কিয়েভ দখলে ব্যর্থতা এবং খেরসন ও খারকিভ পিছু হটার পর শীতকালজুড়ে রাশিয়ার আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল শহরটি। আট মাসের বেশি সময় ধরে শহরটি দখলের লড়াই তীব্র পদাতিক স্থলযুদ্ধে পরিণত হয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দেখা যায়নি।
বাখমুত দখল করতে পারলে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। এখান থেকে তারা ক্রামাতোর্স্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহরে আক্রমণ চালাতে পারবে।
রুশ আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কিছু দিন আগে দাবি করেছেন, তাদের যোদ্ধারা শহরটির ৮০ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইউক্রেন এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, শহরটির ২০ শতাংশের বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তাদের রয়েছে।
রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।