যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মার্ক মিলি ও সুদানের জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান শুক্রবার ফোনালাপ করেছেন। অন্য বিষয়ের মধ্যে রাজধানী খার্তুমের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকর্মীদের কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে তারা আলাপ করেছেন।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) মিলির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, আফ্রিকা থিয়েটারে আমরা সেনাসদস্য বাড়ানোর কথা ভাবছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সরানো হতে পারে।
এদিকে পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে নিজেদের সেনাঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে সেনাসদস্য বাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।
বিষয়সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা বলেন, হ্যাঁ সামরিক সহায়তায় সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সরিয়ে নেওয়ার একটা প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সই করেছেন। তা যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে। এমনকি, ঘোষণা না দিয়েও এটা হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সংঘাতরত দুই সশস্ত্র বাহিনী তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হলেও রাজধানী খার্তুম ও দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুরু হওয়া অস্ত্র বিরতি আগের দুটির চেয়ে অনেক বেশি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।
এক সপ্তাহের সংঘাতে শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৪১৩ জন নিহত ও আরও ৩ হাজার ৫৫১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা