এসএম সোলায়মান : অসহিঞ্চুতার সীমা লঙ্ঘন করে চট্টগ্রামের এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সদস্যদের মধ্যে ভীতি দেখা দিলেও পুলিশ ওই নেতাকে এখনও গ্রেফতার করেনি। বিষয়টি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা হচ্ছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি রাষ্ট্রদূতকে পিটানোর হুমকির বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন। মুশফিকুল ফজল বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পিটানোর হুমকি দিয়েছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পক্ষে পিটার হাস ভূমিকা রাখার জন্য। কূটনীতিক ও স্টাফরা যে হুমকির সম্মুখীন তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। তার প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বিষয়টি তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। তা হলো- আমি মনে করি এরকম সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক। আমরা আশা করবো কূটনীতিকদের বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে নিরাপত্তা দিতে যে কোনো দেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তার গুরুত্ব আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে চট্টগ্রামের চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী সম্প্রতি এক জনসভায় বলেন, পিটার হাসকে আমরা পিটিয়ে এ দেশ থেকে বের করে দিবো।
মুশফিকুল ফজল আরও জানতে চান, বাংলাদেশে বিরোধী দলের আট হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করার কারণে ৩ জন গার্মেন্টস শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলেছে, তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একপক্ষীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি মনে করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা কোনো প্রার্থী বা কোনো দলকে সমর্থন করি না। আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। এ জন্য বাংলাদেশের সব মহলের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।