Home আর্ন্তজাতিক বিচ্ছিন্ন রাশিয়া : কার্যত এক নিঃসঙ্গ রাষ্ট্র

বিচ্ছিন্ন রাশিয়া : কার্যত এক নিঃসঙ্গ রাষ্ট্র

Mukto Chinta
০ comment ৪৫৫ views

রেহনুমা খানম : রাশিয়া ধীরে ধীরে সারা পুথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এক এক করে সবাই রাশিয়াকে বয়কট করতে শুরু করেছে। বিচ্ছিন্ন জাতিতে পরিনত হচ্ছে রাশিয়ানরা। রাশিয়ার অগুনতি মানুষ পুতিনের এই যুদ্ধনীতির বিরোধী হলেও সবাইকে এই ‘সাজা’ ভোগ করতে হচ্ছে। বিশ্ববাসীর এই বয়কটের শিকার হয়ে রাশিয়া এখন বিনোদনবিহীন একটি রাষ্ট্রেও পরিনত হচ্ছে। ছোট বড় মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮৭ টি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে ইউক্রেনে সামরিক হামলার প্রতিবাদে।
নিষেধাজ্ঞার শুরু
ইউক্রেনে হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে অন্যতম ছিলো ব্যাংকিং ‘সুইফট, বন্ধ করে দেয়া, বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা, ব্যাংক লেনদেন থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা, তেল আমদানী এবং গ্যাস রফতানী বন্ধ করা, বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার সাড়ে তিনশ বিলিয়স ডলার বাজেয়াপ্ত করা এবং সব্যোপরি রাশিয়ার সকল বিলিয়নিয়ার, মিলিয়নিয়ারদের বহিঃর্বিশ্বে সব ধরণের লেনদেন বন্ধ রে দেয়া। তা ছাড়া ক্রেডি ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমা বিশ্ব।
নিষেধাজ্ঞার ভিন্ন রুপ
২৪ ফেব্রæয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালায় তখন হয়তো রাশিয়া চিন্তাও করতে পারেনি তার বিরুদ্ধে সারাবিশ্ব কি কি করবে ? আর ইউক্রেনবাসীও কল্পনা করেনি সারা পৃথিবীর মানুষ তাদেরকে কতটা সমর্থন দিবে। যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান তেমন একটা জোড়ালো না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নের্তৃত্বে মিত্র দেশগুলো কঠিন থেকে মহাকঠিন সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে একটার পর একটা। যে কারণে রাশিয়া কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কির অনুরোধে ইউক্রেনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিডিয়া আউটলেট আরটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড নিষিদ্ধ করেছে গুগল। যাতে রাশিয়ানরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যে প্রোপাগান্ডা চালায় সেটা মানুষ না জানতে পারে। রোববার গুগলের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন ব্যবহারকারীরা আরটি নিউজ অ্যাপ ইউক্রেনের গুগল প্লে’তে আর ডাউনলোড করতে পারবে না। তবে বর্তমান ব্যবহারকারীরা এখনো তা চালাতে পারবে। কিন্তু অ্যাপটির আপডেট ভার্সন তারা পাবেন না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আরটি এবং রাশিয়ার অন্য চ্যানেলগুলোকে তাদের ওয়েবসাইট, অ্যাপস এবং ইউটিউব ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গুগল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরে ফেসবুকও একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতে কয়েকটি প্রযুক্তি সংস্থা রাশিয়ান নিউজ আউটলেটগুলোর ওপর যুদ্ধ সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে ইউরোপীয় কমিশন। এ কারণেই রাশিয়ান নিউজ আউটলেটগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি সংস্থা।
অ্যাপলের প্রতিবন্ধকতা
অন্য দিকে মঙ্গলবার অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড বলেছে, রাশিয়ার বাইরের কোনো দেশে আরটি এবং স্পুতনিক নিউজ অ্যাপ তাদের প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে না। যদিও স্পুতনিক এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, রাশিয়ায় পণ্য বিক্রি স্থগিত করেছে অ্যাপল ইনকরপোরেশন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টেক জায়ান্ট অ্যাপল এই তথ্য জানিয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাপল। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি ইউক্রেনের এই মানবিক সংকটে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় টেক জায়ান্ট অ্যাপল দেশটিতে অ্যাপলের সব ধরনের পণ্য বিক্রয় ও রপ্তানি বন্ধসহ আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে, রাশিয়ায় অ্যাপল পে এবং অন্যান্য পরিষেবাও সীমিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
রাশিয়ায় ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব বন্ধ
রাশিয়া একদিকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুতিন তার দেশের নাগরিকদেরকেও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে নিজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রচার বন্ধের জন্য। কারণ হাজার হাজার মানুষ ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে পুতিনের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমে আসে। জনগন যাতে সোস্যাল মিডিয়ায় খবর পেয়ে তার বিরুদ্ধে একত্রিত হতে না পারে সে জন্য আগেই পুতিন রাশিয়ায় ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিলো ইউক্রেনে হামলার সাথে সাথেই। এরপর বন্ধ করে দিলো টুইটার ও ইউটিউব । রাশিয়ায় যতগুলো সোস্যাল মিডিয়া রয়েছে তার মধ্যে ফেসবুক এবং ইউটিউব অন্যতম জনপ্রিয়। ফেসবুক বলেছে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ মানুষকে নির্ভরযোগ্য তথ্য এবং তাদের মতামত শেয়ার করার সুযোগ বন্ধ করে দিলো।
বিদেশী মিডিয়া রাশিয়া ত্যাগ করছে
যুদ্ধ শুরু হবার সাথে সাথেই রাশিয়ায় নতুন মিডিয়া আইন স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ভুয়া খবর ছড়ানো হলে পনেরো বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দেয়া হবে। এই আইনের ফলে রাশিয়া গণমাধ্যমের উপর তাদের টুটি চেপে ধরার যে ঐহিত্য তা আরও বেগবান করলো বলে সংবাদমাধ্যমগুলো আশংকা করছে। তাদের আশঙ্কা, যুদ্ধের বিপক্ষে, বা ইউক্রেনের পক্ষে কোনো সংবাদ প্রচার হলেই সেটাকে রাশিয়া ভ‚য়া খবর বলে এই কালো আইনটি প্রয়োগ করতে পারে। রাশিয়ায় নতুন পাস হওয়া একটি আইনের কারণে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা জানিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এরই মধ্যে ওই দেশে তাদের কাজ স্থগিত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে বিবিসি, বøুমবার্গ নিউজ, কানাডার সিবিসি, জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি , ইতালির রাই এবং জেডডিএফ । যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে রাশিয়ার নতুন এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নেটফ্লিক্স ও টিকটক
ইউক্রেনে হামলার নিন্দায় রাশিয়ায় নেটফ্লিক্স ইনকর্পোরেটেড তার পরিষেবা স্থগিত করেছে। গত রোববার নেটফ্লিক্সের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ায় ভবিষ্যতের সব প্রকল্প ও অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থগিত করে দিয়েছে। নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসী নীতির কারণেই দেশটিতে আমাদের সার্ভিস স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম টিকটক তার ব্যবহারকারীদের উপর মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি নেমে আসতে পারার ভয়ে লাইভ-স্ট্রিমিং এবং ভিডিও আপলোড স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । গত রোববার এ কথা জানিয়েছে চীনা মালিকানাধীন এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ। প্রতিষ্ঠানটির এক টুইটার পোস্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ায় এই নতুন মিডিয়া আইন আমাদের পরিষেবায় খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই রাশিয়ায় লাইভ স্ট্রিমিং ও ভিডিও আপলোড স্থগিত করা ছাড়া তাদের বিকল্প কিছু করার ছিলো না। তবে তাদের মেসজিং চালু থাকবে।
ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান
রাশিয়াকে বয়কট করা বা তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছেই। এবার এই তালিকায় যোগ হয়েছে জনপ্রিয় কোমলপানীয় কোকাকোলা ও পেপসির নাম। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিশ্বের নামীদামি সব প্রতিষ্ঠান। খবর এএফপি ও বিবিসির। রাশিয়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে কোকাকোলা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনে এই মর্মান্তিক হামলার নির্দয় প্রভাব যেসব মানুষ সহ্য করছেন, আমরা তাঁদের পাশে আমরা আছি।’ অপরদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা করে পেপসি জানিয়েছে, রাশিয়ায় পেপসি কোলা, সেভেন আপ ও মিরিন্ডা বিক্রি করবে না তারা। তবে শিশুদের ফর্মুলা দুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এর আগে অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালেও এই কোমলপানীয় প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা চালু রেখেছিলো। কিন্তু প্রথমে ইউক্রেন তাদের পানীয় বর্জন করতে শুরু করে রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা চালু রাখার প্রতিবাদে। ফলে ইউক্রেনের বহু স্টোর থেকে তাদের কোমলপানীয় ফেলে দেয়া হয়। বিশ্বজুড়ে শুরু হয় কোলাকোলা ও পেপসি বর্জনের ডাক। চালু করা হয় হ্যাশট্যাগ। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রতিষ্ঠান দুটি রাশিয়ায় তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি দেয়। ম্যাকডোনাল্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। কফি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্টারবাকস’ও রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর আগে আমেরিকান চেইন ফাস্ট ফুড ম্যাকডোনাল্ড’স জানায়, রাশিয়ায় তাদের স্টোরগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
তৈরি পোষাক ও গাড়ি রফতানী বন্ধ
রাশিয়ার যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পোষাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জারা, এইচঅ্যান্ডএমসহ কয়েকটি নামকরা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় তাদের বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে আছে সুইডেনভিত্তিক আসবাব নকশা ও গৃহসজ্জা প্রতিষ্ঠান আইকিয়া, ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস বারবারি, ব্রিটিশ বহুজাতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি রোলস রয়েস, অ্যাস্টন মার্টিন ও জাগুয়ার, ল্যান্ড রোভার, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরের মতো নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো।
খেলাধুলা থেকে বাদ পড়ছে রাশিয়া
বিনোদন আর ভোগ্যপন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল রাশিয়াকে বয়কট করছে না। সাথে রয়েছে আরও অনেকেই। খেলাধুলার জগৎ থেকেও রাশিয়াকে না বলে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রচারস্বত্ব চুক্তি বাতিল করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এর ফলে রাশিয়ায় প্রিমিময়ার লিগের খেলা দেখা যায়নি। বিবিসি জানিয়েছে, লন্ডনে প্রিমিয়ার লিগের ২০টি দল প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করে। কিন্তু রাশিয়ায় খেলা না দেখানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে মাত্র ১৫ মিনিট। এই কয়েক মিনিটেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়ায় খেলা না দেখানোর। মূলত সবাই এ বিষয়ে বৈঠকের আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলো যে তারা রাশিয়ায় খেলা দেখাবে না। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপন করেনি তারা। রাশিয়ায় প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ দেখানোর স্বত্ব ছিলো দেশটির অন্যতম বড় ওয়েব পোর্টাল র‌্যাম্বলার গ্রæপের। তিন বছরের চুক্তির শেষ বছরে ছিলো তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও রাশিয়ার সাথে তাদের সম্প্রচার চুক্তি বাতিল করেছে। অর্থাৎ এ মাসে তারা কাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ রাশিয়ায় দেখাবে না।
রাশিয়াকে না বলে দিলো ফিফা ও উয়েফা
রাশিয়ার সকল ক্লাব ও জাতীয় দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিফা ও উয়েফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা (উয়েফা) সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে তারা এই নিষেধাজ্ঞার নির্দিষ্ট কোনো সময় জানায়নি। সংস্থা দুটি জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চলতি বছর কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে­অফে খেলতে পারবে না রাশিয়ার পুরুষ ফুটবল দল। রাশিয়ার মেয়েদের ফুটবলার দলও খেলতে পারবে না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।

You may also like

Leave a Comment

Muktochinta

Multochinta is a famous news media from New York. 

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

All Right Reserved. 2022 emuktochinta.com