Home Uncategorized মোমেন-পিটার হাস রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি কথা হলো?

মোমেন-পিটার হাস রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি কথা হলো?

Mukto Chinta
০ comment ৫৭ views

মুক্তচিন্তা ডেস্ক : ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস প্রথমবারের মতো জরুরী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় ঘন্টাব্যাপী ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি আনুষ্ঠানিকভাবে। বৈঠকের বিষয়টি সবাই জানলেও কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা কোনো পক্ষই জানায়নি।


ধারণা করা হচ্ছে চলামান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচন নিয়েই যে কথা বলেছেন তা নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। কূটনৈতিক সাংবাদিকরা ধারণা করছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসান এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজতে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যদিও এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দিন আগেই সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘যদি বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপ হয় তাহলে তিনিও সংলাপ করবেন।’
বাংলাদেশের বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার সংলাপে বসে রাজনৈতিক বিরোধ মীমাংসা করতে সরকার ও বিরোধী দল এবং নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের নিয়মিতভাবে উৎসাহিত করছেন। গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান। পিটার হাসের সাথে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের জানান, রাজনীতি ছাড়াও দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা বা আলোচনার জন্য সরকারী সিস্টেমে বহু উইন্ডো ওপেন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বিষয়ে জানতে মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিক হিসাবে আমরা বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে কথা বলি। নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তি, সরকারী কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। এসব যোগাযোগ বা আলাপ-আলোচনায় বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে আমাদের বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

You may also like

Leave a Comment

Muktochinta

Multochinta is a famous news media from New York. 

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

All Right Reserved. 2022 emuktochinta.com