মুক্তচিন্তা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের পক্ষে অংশ নিতে স্বেচ্ছা কারাবরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে যারা স্বেচ্ছা কারাবরণ করতে চান তাদের নাম তালিকাবদ্ধ করা হচ্ছে। ভার্জিনিয়ার বিএনপি নেতা জাহিদ খান এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা।
জাহিদ খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনি দুটি যাত্রীবাহী প্লেন ভাড়া করার জন্য কথা বলা চূড়ান্ত করেছেন। অনেকেই স্বেচ্ছা কারাবরণের জন্য নাম তালিকাবদ্ধ করেছেন। নভেম্বরের মাঝামাঝি অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তারা বাংলাদেশে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পুরো বাংলাদেশটাই এখন একটা কারাগারে রুপ নিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে। বিএনপির সকল নেতাকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকানো হয়েছে। তারা কারান্তরীন নেতাদের সমর্থনে স্বেচ্ছা কারাবরণের এই কর্মসূচি নিয়েছেন বলে জানান। দুটি প্লেন ভাড়া করতে কত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে জানতে চাইলে বলেন, এখনই সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যাদের অর্থ আছে বা ব্যবসা করেন তারাই মূলত অর্থের যোগান দিবেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই- যেসব বিএনপি নেতা গ্রেফতার হয়েছেন তারা নির্দোষ। তারা একা নন। আমরাও তাদের সঙ্গি হতে চাই।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্কের অনেকেই এরই মধ্যে দেশে স্বেচ্ছা কারাবরণের জন্য যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যারা স্বেচ্ছা কারাবরণের জন্য দেশে যেতে চান তাদের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও অনেক নেতা-কর্মি এই উদ্যোগের সাথে একমত হবেন। তারা স্বেচ্ছা কারাবরণ কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করবেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আরেক নেতা মিল্টন ভূইয়া জানান, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে চরম অসুস্থ অবস্থায় জেলে আটক রাখা হয়েছে। বিএনপি’র প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে না। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় সব নেতাকেই জেলে ভরে রাখা হয়েছে।
অতএব আমরা আর বাইরে থেকে কি করবো। আমরা দেখতে চাই শেখ হাসিনার কারাগার কত বড়?