মুক্তচিন্তা ডেস্ক: গত শনিবার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে হাইপারসনিক এই অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। বিমান বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে র্যাপিড রেসপন্স উইপন (এআরআরডব্লিউ) ছোড়া হয়। এটি আকাশ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য অস্ত্র।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এআরআরডব্লিউ এর জ্বালানি সক্রিয় হয় এবং এটি প্রত্যাশিত সময় ধরে জ্বলতে থাকে, শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতি অর্জন করে।
আমেরিকার বিমান বাহিনী সোমবার বলেছে, তাদের এই অস্ত্রটি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি দ্রুত ছুটতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে রাশিয়ার সাথে উত্তেজনার মধ্যেই এই পরীক্ষা চালালো আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশের কাছে হাইপারসনিক অস্ত্র প্রযুক্তি রয়েছে। গতির কারণে এই অস্ত্র শনাক্ত এবং ঠেকানো কঠিন।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ইতোমধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।
এছাড়া চীন এই অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে গত বছরের অক্টোবরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা অস্বীকার করে।
গত বছরও সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্যান্য দেশের তুলনায় যা অনেক বেশি। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ছিল ৮০ হাজার ১০০ কোটি ডলার।ঃ