তিন বছরেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড জরুরি অবস্থার অবসান হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড জাতীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান করেন।
অবশ্য নাগরিকদের ভালোমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও করোনা মহামারিতে দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
হোয়াইট হাউস বলেছে, কংগ্রেসে আগে পাস হওয়া একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে ওই আইনটি ‘কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কিত জাতীয় জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়েছে।’
এএফপি বলছে, কোভিড জাতীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড পরীক্ষা, বিনামূল্যের ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থার জন্য বিশাল তহবিল এখন বন্ধ হয়ে যাবে। মূলত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশকে বৈশ্বিক মহামারির কবল থেকে মুক্ত রাখার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এই জরুরি অবস্থা আরোপ করা হয়েছিল।
অবশ্য মেক্সিকোর সাথে উত্তেজনাপূর্ণ দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থার অবসানের প্রভাব হবে বেশ কম। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অনথিভুক্ত অভিবাসী এবং বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীদের ঢেউ মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছে।
মূলত টাইটেল ৪২ নামক একটি আইন সরকারি স্বাস্থ্য জরুরি সময়ে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আগমনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি কার্যত শেষ হতে চলেছে এবং অভিবাসীদের ঢেউ এড়াতে চাইলে মার্কিন প্রশাসনকে এখন ভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, টাইটেল ৪২-এর ব্যবহার আগামী ‘১১ মে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাপী মহামারি থেকে মনোযোগ কিছুটা সরিয়ে নিলেও বাইডেন প্রশাসন ইতোমধ্যেই পরবর্তী প্রজন্মের ভ্যাকসিন এবং ভাইরাসের ভবিষ্যৎ যেকোনও ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।