যুক্তরাষ্ট্র ও দিল্লীর সাথে ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে ওবায়দুল কাদের। এবার সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি আবারও হাস্যকর কথা বলেছেন। সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। ‘তলে তলে আপোস হয়ে গেছে’ কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, পাবলিক ‘তলে তলে খায় ভালো।’ তবে এই ধরনের নিচু মানের কথা বলা নিয়ে আবারও নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি। ‘পাবলিক খায়’ বলেই বক্তব্যের সময় তিনি ‘তলে তলে’, শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’ এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যে বৈঠক হয়েছে, সে বিষয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ জানে না। তাহলে তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে বলে আমি যা বলেছি, তা তো ভুল বলিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গুজব এবং অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে। আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপের বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থা রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়। তিনি উল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি কথাটা যা বলেছি সেটি কি আপনারা অনুধাবন করছেন না?’ গত মঙ্গলবার সাভারের আমিনবাজারের এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’ এ ব্যক্তব্যের ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা যে সেলফি তুলেছেন, তখনও তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি। এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়ায়ও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বোঝাতে চেয়েছি।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে আপনারা সম্পর্ক ভালো রাখছেন বলছেন। সেক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন কি-না জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে দূরত্ব তো নেই। আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে চীনের ভূমিকা আছে। সেটা আমরা বাইপাস করতে পারবো না। তাদের সাহায্য আমরা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে, এটি জিটুজি প্রকল্প। তাদের সরকারের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমরা কারো সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, এটিই আমাদের নীতি।
‘তলে তলে’ বক্তব্য নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের ব্যাখ্যা
৫৮