বাড়ছে গরম। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়।
সময় মতো যদি সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে হিট স্ট্রোক মারাত্মক হতে পারে। এমনকী দেরি করে ফেললে প্রাণঘাতীও হতে পারে হিট স্ট্রোক। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন-
বাইরে বেরনোর সময়ে টুপি, ছাতা, স্টোল সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। অর্থাৎ যা আপনার শরীরের বেশিরভাগটাই ঢেকে রাখবে, তেমন জিনিস অবশ্যই সঙ্গে রাখুন।
শরীরে পানির অংশের পরিমাণ সঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। বাইরে বের হলে সঙ্গে সবসময় পানির বোতল রাখুন।
হালকা রঙের হালকা জামাকাপড় পড়ুন।
বেশি শারীরিক কসরত করবেন না।
ক্যাফেইন, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা খেতে পারেন-
ছাতুর শরবত
গরমে খুব ভালো ছাতুর শরবত। এতে পেট ঠান্ডাও থাকে। অনেকক্ষণ খিদেও পায় না। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর তাই গরমে ছাতুর শরবতের জুড়ি মেলা ভার।
কাঁচা মুগ
প্রতিদিন সকালে একবাটি করে ভেজানো মুগ খান। কিংবা অঙ্কুরিত মুগ, ধনেপাতা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, লেবুর রস দিয়ে চাট বানিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
আম পান্না
কাঁচা আম পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে জুসটা বের করে নিন। এবার ওই কাথ ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, সামান্য নুন আর চিনি মিশিয়ে নিলেই তৈরি আমের পান্না। উপর থেকে পুদিনা পাতা দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ
গরমকালে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খান। হতে পারে তা ভাতের সঙ্গে। কিংবা রুটি, মুড়ির সঙ্গেও খেতে পারেন। আর পেঁয়াজের জুসও বানিয়ে নিতে পারেন। জুস বানিয়ে ওর সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিন। এতেও শরীরের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
বাটার মিল্ক খান
বাটার মিল্ক শরীরের জন্য খুব ভালো। শরীরকে ঠান্ডা রাখে বাটার মিল্ক। কারণ এর মধ্যে থাকেন প্রোটিন, প্রোবায়োটিক, ভিটামিন। সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। যদি খুব বেশি গরম হয়ে যায় শরীর তাহলে খুব সহজেই ঠান্ডা করে দেয় বাটার মিল্ক।