মুক্তচিন্তা ডেস্ক : ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার এক লাখ সৈন্য সমাবেশের কারণে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে সেটা প্রশমনে বিশ্বনেতা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েণ ম্যাক্রো রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে মস্কোতে দেখা করেছেন। তারা চলমান উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকেও স্বাগত জানিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলো উইক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে অনেকদিন ধরে। যেটা রাশিয়া বারবার অস্বীকার করেছে। তবে রাশিয়া ইউক্রেনেরে সীমান্তে লক্ষাধিক সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে সেটা সত্য। পশ্চিমাদের অভিযোগ রাশিয়া সেখানে হামলার জন্য রাশিয়া তাদের সামরিক শক্তির বিশাল অংশকে সেখানে সমবেত করেছে। যেটা বিপজ্জনক।
সাম্প্রতিক সময়ে, মস্কো দাবি করেছে যে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনকে কখনও সদস্য করবে না এবং পশ্চিমারা পূর্ব ইউরোপে তার সৈন্য সংখ্যা হ্রাস করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আগামী এপ্রিলে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সে কারণেও এমানুয়েল মাক্রোঁর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই রাশিয়ায় গিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
সফরের প্রধান উদ্দেশ্য-রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আশঙ্কা কমানো। আলোচনা যে সাময়িকভাবে ফলপ্রসূ হবে সে বিষয়ে মাক্রোঁ যথেষ্ট আশাবাদী। কারণ তিনি মনে করেন, আলোচনার আরেক অর্থ ‘সময় কেনা’, কেননা, আলোচনার সময় স্বাভাবিকভাবে কোনো পক্ষ যুদ্ধে জড়ায় না। তাছাড়া পুতিন যে এখন ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় আগের মতো অত অনাগ্রহী নন, সেই বিষয়টিও আশাবাদী করেছে মাক্রোঁকে। কয়েকদিন আগেও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কার্যত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেই স্বীকার করছিলেন পুতিন। এখন তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় রাজি।
এ কারণে সোমবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইয়েভস লা দ্রিয়ান এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক যাচ্ছেন কিয়েভে। তাদের এ সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেনকে আবার আশ্বস্ত করা যে, চলমান সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাশে আছে। তারা সফর শেষ করলেই কিয়েভে যাবেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। নবনির্বাচিত জার্মান চ্যান্সেলর কিয়েভে যাবেন আগামী সপ্তাহে। কিয়েভ থেকে মস্কোতেও যাবেন তিনি। ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতো তার মস্কো সফরের মূল উদ্দেশ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমনে ভূমিকা রাখা।
আগামী এপ্রিলে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অন্যদিকে কাউন্সিল অব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ফ্রান্স। তাই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ইউক্রেন ইস্যুকেও খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কি অনিবার্য?
২৯০
previous post